প্রযুক্তি যেন হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে গোটা দুনিয়া। স্মার্টফোনে আঙুলের ছোঁয়ায় পাওয়া যাচ্ছে ফ্যাশনের হাল খবর। শুধু কি তাই? আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার পোশাকেও দেখা যাচ্ছে। পোশাকও হয়ে উঠছে ‘স্মার্ট’। আর তারই নমুনা দেখা গেল ঢাকার এক আয়োজনে।
১২ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের পুষ্পগুচ্ছ হলে ‘বাংলাদেশ ফ্যাশনোলজি সামিট’ শিরোনামে এক আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেলস এক্সচেঞ্জ। সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ভারতের ১৭ জন বক্তা উপস্থিত ছিলেন। এখানে তৈরি পোশাকশিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, এই শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনার শেষে অনুষ্ঠিত হয় ফ্যাশন শো। বিদেশের ডিজাইনাররা তাদের পোশাক দেখান ফ্যাশন শোতে। শোয়ের প্রতিটি পোশাকেই ছিল স্মার্ট প্রযুক্তির ছোঁয়া। থ্রিডি প্রিন্ট ব্যবহার করা হয় পোশাকে। কাটছাঁটেও ছিল নতুনত্ব। কিছু পোশাক জ্বলজ্বল করছিল এলইডি বাতির আলোয়। আবার কিছু পোশাকে ছিল সেন্সর। ফলে শব্দের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় বাতির রং।
পশ্চিমা বিশ্বে এই ধরনের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এখন স্মার্ট পোশাকের উৎপাদন না বাড়ালে বিশ্ববাজারে পিছিয়ে পড়তে হবে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।
ভালোবাসার পোশাক
শিরির হাতে হাত রেখে মঞ্চে এলেন ফরহাদ। তাঁরা চলে যেতেই বেনারসি জড়িয়ে মঞ্চে হাজির লাইলী। তাঁর সঙ্গে পাঞ্জাবি আর চুড়িদারের ওপর শাল জড়িয়ে মজনু হেঁটে এলেন। দুজন হাত ধরে ধীর পায়ে হাঁটলেন এমাথা-ওমাথা। এভাবে আরও কয়েক জুটি। রোমিও-জুলিয়েট বা টাইটানিক চলচ্চিত্রের জ্যাক-রোজও হেঁটেছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এই ফ্যাশন শোর আয়োজন করে গুলশানের ফ্যাশন হাউস প্রেমস কালেকশন। আর মঞ্চে মডেল হিসেবে এই চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ উপস্থাপকেরা।